হ্যাপী করিম, মহেশখালী।

মহাকাশ বিজ্ঞানে শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করতে ও মহাকাশের বিভিন্ন বিষয়ে জানার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম ও স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের যৌথ উদ্যোগে এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সহযোগিতায় ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো অ্যাস্ট্রোনট ক্যাম্প।

এতে মহেশখালীর ৭ বিজয়ীরা হলেন- ছনখোলা পাড়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল অপু,(স্যাটেলাই ডিজাইন) কালারমার ছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর মোজাহিদ হোছাইন আজমীর, (স্যাটেলাই ডিজাইন) হোছাইন মোহাম্মদ সাগর, (স্যাটেলাইট ডিজাইন) গোরাকঘাটা আয়েশা ছিদ্দিকা বালিকা মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী রামিছা বিনতে বশর, (মুন ল্যান্ডার) আঁধার ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শেখ আসাব উদ্দিন, (মুন ল্যান্ডার) কালারমারছড়া আল আমিন মডেল অ্যাকাডেমির প্রথম শ্রেণীর আলিফ আল তৈয়ব আয়াত(মুন ল্যান্ডার) ও তৃতীয় শ্রেণীর মারুয়া মিন্নাত সোহান (মুন ল্যান্ডার)।

আয়োজনটি গত ২৮-২৯ জুন রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল থেকে ৪ থেকে ১৬ বছর বয়সি ৩০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

দু-দিন ব্যাপী আয়োজনে ছিল অ্যাপোলো মিশন নিয়ে ইন্টারেকটিভ সেশন। যা স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এর খুদে বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যেখানে চাঁদে অবতরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে ২৪টি টিমে বিভক্ত হয়ে বানিয়েছে স্পেস রোবট, মুন-ল্যান্ডার, ওয়াটার রকেট এবং ক্যান স্যাটেলাইট।

আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিশু-কিশোরদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদেরকে মহাকাশ গবেষণার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করা। প্রতিটি ওয়ার্কশপ এর জন্য একজন অভিজ্ঞ মিশন কন্ট্রোলার এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট মিশন কন্ট্রোলার ছিলেন, যারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সৃজনশীল কার্যক্রম এবং কর্মশালার মাধ্যমে তাদের প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন।

এবারের বিজয় নিয়ে মহেশখালীর ক্ষুদে বিজ্ঞানী সিরাজুল মোস্তফা আপেল জানান- নানা প্রতিবন্ধকতার চড়াই উতরাই পেরিয়ে আমরা মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কাজ করছি। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মহাকাশ ও উন্নয়ন প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে চেষ্টা করছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে আপেল বলেন- প্রথমে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বিবেচনা করে বাছাই পর্ব শেষ করি আমরা, এরপর সেমিনারের মাধ্যমে মহাকাশের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর একটি সভা করে অংশগ্রহণকারীদের থিওরি ক্যাল প্রশ্নের মাধ্যমে ফের মেধা চর্চার যাচাই করি। সবশেষে কেন্দ্রীয়ভাবে তাদেরকে চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য মনোনীত করি।